পর্তুগালে মহান বিজয় দিবস উৎসব অনুষ্ঠিত 

পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস উৎসব। গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় দেশটির রাজধানী লিসবনের মার্তিম মনিজ পার্কে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। 

জানা গেছে, প্রথমবারের মতো আয়োজিত উৎসবে দিনব্যাপী নৃত্য,গান, কবিতা আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। 

জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওর এর প্রেসিডেন্ট ডঃ মিগেল কোয়েলু এই বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন। 

এ সময়  ডঃ মিগেল কোয়েলু বলেন, বাংলাদেশিরা তাদের স্বাধীনতার মাসে সুন্দরভাবে বিজয় উৎসব আয়োজন করছে। আমরা এর সঙ্গে থাকতে পেয়ে আনন্দিত। 

এদিকে বিকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে পর্তুগালের রাজনৈতিক- সামাজিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রনি হোসাইন ও আব্দুল হাকিম মিনহাজ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজয় উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রানা তাসলিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের লিসবন মিউনিসিপ্যাল এসেম্বলি মেম্বার ও সোশ্যালিস্ট পার্টি নেতা অ্যাডভোকেট ডঃ জোসে লেইতাও, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া আল্কান্তারার প্রেসিডেন্টড্যাবিড আমাদো , বাংলাদেশের পর্তুগাল দূতাবাস প্রধান এস এম গোলাম সরওয়ারসহ বিভিন্ন পর্তুগিজ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

এ সময় পর্তুগালের প্রবীণ কমিউনিটি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন ও কমিটির অন্যরা অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানান।  

দ্বিতীয় পর্বের মূল আকর্ষণ ছিল ‘সোনা পাখি’ খ্যাত শিল্পী ওয়াহিদের সংগীত পরিবেশনা। যা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে এবং বিজয় দিবসের উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এর পাশাপাশি পর্তুগালের স্থানীয় শিল্পীরাও বাংলা গানে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন।

পর্তুগীজ জাতীয় দুটি টেলিভিশন উপস্থিত থেকে বিজয় উৎসব তাদের টিভিতে সংবাদ প্রচার করেছে। পর্তুগিজরা বাংলাদেশের মনোমুগ্ধকর এ বিজয় উৎসবে আনন্দিত হন। তারা মেলার বিভিন্ন স্টোল ঘুরে দেখেন এবং বাঙ্গালীদের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন। তারা  প্রতিবছর এমন আয়োজন করার জন্য সব সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও মহান বিজয় দিবস উৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, পর্তুগালের ইতিহাসে বাংলাদেশের কমিউনিটির এটাই সবচেয়ে বড় আয়োজন। আমি পর্তুগালের প্রথম পাঁচ জনের একজন প্রবাসী। সে হিসেবে বলতে পারি পর্তুগালে এত বড় আয়োজন আজ পর্যন্ত হয়নি। এ আয়োজন প্রতিবছর আমার উত্তরীয় তরুণরা পালন করবে বলে আমি মনে করি। যা বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের মাঝে ইতিবাচকভাবে ফুটিয়ে তুলবে। 

মেলায় ৪০ টি এর মতো স্টলে বাংলাদেশী মানুষজন দেশীয় বিভিন্ন কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন পিঠা, হস্তশিল্প  ও বাংলাদেশী পণ্যের সমারোহ নিয়ে  হাজির হন। বিজয় উৎসবে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবঅ।  

বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির অন্যরা হলেন রনি হোসাইন ,আব্দুল হাকিম মিনহাজ ,মাসুম আহমদ,শহীদ আহমদ (প্রিন্স ),শাকির হাসান,এনামুল হক, আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, আশরাফ,ইকবাল আহমদ কাঞ্চন , জসিম উদ্দিন, শিমুল সরকার ,আমিরুল ইসলাম নয়ন , হাফিজ আল আসাদ , ছানি সুমন, নাহাজ,সাইফুল হক,আজমল আহমেদ ,শামসুজ্জামান জামান, শামসুল হক ,স্বপ্নীল নিশান ,শাহীন আহমদ ,শিমুল সরকার প্রমুখ। 

এসএস//